পূর্ববঙ্গের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে অগ্রায়ণ মাসের প্রতি রবিবার সন্ধ্যায় মূলত অবিবাহিত মেয়ের বিবাহ কামনায় নাটাই চণ্ডী বা নাটাই মঙ্গলচণ্ডী পুজো করা হয় । মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে সাধারণত আর ব্রতটি করার প্রচলন নেই ।তবে কিছু কিছু জাতির নারীদের মধ্যে আজীবন এই ব্রত করতে দেখা যায় । লিখছেন–ময়ূখ ভৌমিক।
Tag: ব্রতকথা
চাপড়া ষষ্ঠী বা চাপড় ষষ্ঠী ব্রত কৃত্যাদিতে ইতিহাসের সংকেত
অখণ্ড বাংলাতে সন্তান এর মঙ্গল কামনায় একাধিক ষষ্ঠী ব্রত প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত আছে। সাধারণত, বার মাসে তের ষষ্ঠীর কথা শোনা গেলেও, বাস্তবে ছয়টি ষষ্ঠীর পূজাই দেখতে পাওয়া যায় ।সমস্ত ষষ্ঠীই শুক্ল পক্ষে পালনীয় । এর মধ্যে ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী” চাপড়া ষষ্ঠী বা চাপড় ষষ্ঠী “বলে পরিচিত ।অঞ্চল ভেদে, এটি “মন্থন ষষ্ঠী ” বা “অক্ষয় ষষ্ঠী ” বলেও পরিচিত। পূর্ব বঙ্গের পাবনা, যশোর, ইত্যাদি অঞ্চলে এটি চাপড় ষষ্ঠী বলে পালিত হয় ।পশ্চিমবাংলায় একে ঘাট ষষ্ঠীও বলা হয়।–লিখছেন-ময়ূখ ভৌমিক
পূর্ববঙ্গের মনসাসংস্কৃতি ও ব্রতকথায় প্রাচীন নাগপুজোর প্রভাব
পূর্ববঙ্গের মনসাসংস্কৃতি ও ব্রতকথায় প্রাচীন নাগপুজোর প্রভাব।মনসা পূজা উভয় বঙ্গের একটি জনপ্রিয় লোক উৎসব । অনেক পরিবারে এটি ব্রত হিসেবে ও পালন করা হয়, মূলত নারীদের দ্বারা । পূর্ববঙ্গীয় কিছু কিছু প্রাচীন পরিবারের মনসা পূজার রীতি নীতি ও এই ব্রত উপলক্ষে কথিত “কথা টি লক্ষ্য করলে পরিষ্কার বোঝা যায় আদতে এটি সর্প বা নাগ পূজার অনুষ্ঠান ছিল। পরবর্তী কালে মনসা দেবীর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারনে এটি “মনসা ব্রতে” পরিবর্তিত হয়। কিন্তু তা হলেও একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই ব্রতটির পুরোনো রূপ খুঁজে পাওয়া যায় ।লিখছেন–ময়ূখ ভৌমিক ।
সুবচনীব্রত বা শুভচণ্ডীর পুজো হয় পূর্ববঙ্গে বিয়ের অষ্টমঙ্গলায়
সুবচনীব্রত অনেকের মতে শুভ চণ্ডী। বাংলার এক পরিচিত দেবী । যদিও এই দেবীর বাৎসরিক পূজার বিশেষ প্রচলন বাঙালি সমাজে নেই,। ছেলে বা মেয়ে র বিবাহের পরে নবদম্পতির মঙ্গল কামনায় এই ব্রত করা হয় । পূর্ব বঙ্গীয় সমাজে সাধারণত বিয়ের আট দিনের মধ্যে কোনো শনি বা মঙ্গল বার ভোর বেলা এই ব্রত করা হয় । লিখছেন–ময়ূখ ভৌমিক।